মুন্সীগঞ্জে বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে আলু, ‘বীজ সংকটের’ শঙ্কা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/03/20/photo-1490028032.jpg)
বৈরী আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টির কারণে মুন্সীগঞ্জে বীজ আলু সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। আলু উত্তোলন নিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
দেশের উৎপাদিত মোট আলুর তিন ভাগের এক ভাগ উৎপাদন হয় মুন্সীগঞ্জে। চলতি মৌসুমে মুন্সীগঞ্জে ৩৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। এই মৌসুমে ৭১ শতাংশ আলু উত্তোলন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৩০ হেক্টর জমি।
গত ১০ মার্চ থেকে মুন্সীগঞ্জে থেমে থেমে চলা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন আলুচাষিরা। এতে বীজ আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সামনের মৌসুমে তা সংরক্ষণ করা নিয়ে তাঁরা চিন্তায় পড়েছেন।
গজারিয়া উপজেলার আলুচাষি হাসান জাহাঙ্গীর জানান, এবারের মৌসুমে ভারি বৃষ্টিতে আলুর জমি তলিয়ে গেছে। সামনের বছরের জন্য তৈরি করা অনেক জমির আলুবীজ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আগামী মৌসুমে রোপণের জন্য বীজ আলুর দাম অনেক বেড়ে যাবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
ওই চাষি বলেন, ‘লাভের আশায় আলু রোপণ করেছিলাম, এখন লোকসান ছাড়া গতি নেই।’
সিরাজদিখান উপজেলার খিদিরপাড় এলাকার আলুচাষি হাসেম আলী জানান, এবার আলু চাষ করে আশার আলো নিভে গেছে। ভারি ও শিলাবৃষ্টির কারণে জমিতে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হুমায়ূন কবির জানান, বৃষ্টিতে বীজ আলু নষ্ট হওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই। জেলায় ৭৭ হাজার মেট্রিক টন বীজ আলুর চাহিদার বিপরীতে বিএডিসি বরাদ্দ দেয় মাত্র দুই হাজার মেট্রিক টন। তবে এই এলাকায় হল্যান্ডের বীজ আলুতে ফলন বেশি হওয়ায় এর ওপর চাষিরা নির্ভরশীল। তাই বীজ আলু নষ্ট হলেও তেমন প্রভাব পড়বে না বলেও দাবি এই কর্মকর্তার।