বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। বাস্তবে গণতন্ত্র  হরণই হচ্ছে তাদের প্রধান কাজ। গত ৮ বছরে দেশে গণতন্ত্র হরণ করে ভোটাধিকারসহ দেশের সাধারণ জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে তারা।’

আজ মঙ্গলবার কুমিল্লায় বসবাসকারী চৌদ্দগ্রামের নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন। কুমিল্লা নগরীর বধূয়া কমিউনিটি সেন্টারে ওই সভার আয়োজন করা হয়। নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়। 

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কুমিল্লার জনগণ অত্যন্ত সচেতন। এবারের নির্বাচনে কুমিল্লাবাসী সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কোনো ধরনের ভুল করবে না বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর সে জন্যই তারা তাদের নগর অভিভাবক নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কুমিল্লার জনগণ মেয়র নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যোগ্য ও অভিজ্ঞ প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে এবং সে জন্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মনোনীত প্রার্থী সাক্কুকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে কুমিল্লার জনগণ তাদের সচেতনতা ও যোগ্যতার প্রমাণও দেবে ইনশাল্লাহ।’ 

অনুষ্ঠানে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমি কুমিল্লাবাসীর সুখ দুঃখে তাঁদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি। সিটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর কোনো আয়কর বাড়াইনি। নাগরিক সুবিধা বাড়িয়েছি। নতুন সিটি করপোরেশন হিসেবে কুমিল্লা নগরীকে সুন্দর, সুশৃঙ্খল, আধুনিক এবং নিরাপদ করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।’ তিনি তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আগামী নির্বাচনে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। 

অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, ‘মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচিত  হলে ঢাকা মহানগরীর মতো কুমিল্লা মহানগরীকে ঢেলে সাজানো হবে ইনশাল্লাহ।’ 

চৌদ্দগ্রাম থানা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদার সভাপতিত্বে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা ও কুসিক নির্বাচনের বিএনপি মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক শামসুদ্দিন দিদার, ইঞ্জি. শাহ আলম, খোরশেদ কবির খোকন প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।