কাউয়া একাত্তরে ছিল, পঁচাত্তরে ছিল, এখনো আছে : কাদের
দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খাঁটি কর্মীর ভেতরে ভেতরে দলে কাউয়া আছে। কাউয়া পঁচাত্তরে ছিল, একাত্তরেও ছিল। কাউয়া এখনো আছে। ক্ষমতার স্রোতে ঢুকে যায়। আর কিছু কিছু নেতা দল ভারী করার জন্য কাউয়াদেরও লিস্টে নাম লেখায়। আমাদের কাউয়ার দরকার নেই।’
আজ শনিবার রাজধানীর লালবাগের আজাদ অফিস মাঠে ‘২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বলে নিজেদের দাবি করে, আমি সেই ঘোষক দাবিদার দলকে জিজ্ঞেস করতে চাই, ২৫ মার্চের এই গণহত্যা দিবসে আপনাদের কর্মসূচি কী? আমি জানতে চাই আপনারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দিনে নীরব কেন? আমি জানতে চাই আজকের এই দিনে গণহত্যার ব্যাপারে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান কি? বাংলাদেশের জনগণ জানতে চায়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানেই মেরুকরণ হয়ে যাবে। এখানেই মেরুকরণ হচ্ছে কারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মদদ দেয়, আলবদর শত্রুদের সঙ্গে মিত্রতা করে। তারা মুক্তিযুদ্ধকে মানে না। বিএনপি নীরব কেন? বিএনপির কোনো কর্মসূচি আজ নেই কেন? আজকের এই নৃশংসতম, বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের দিনে দল হিসেবে বিএনপির অবস্থান কী? তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে? না পাকিস্তানের ধ্যান-ধারণা লালন করে?’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, মোজাফফর হোসেন পল্টু, দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।