পাহাড়ের পর্যটন বাড়াতে বাইক প্রতিযোগিতা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/03/25/photo-1490462539.jpg)
পাহাড়ের পর্যটন সম্ভাবনা আরো বাড়াতে বাইক প্রতিযোগিতার ৪১ জন প্রতিযোগী রাঙামাটিতে পৌঁছেছেন। আজ শনিবার সকালে তাঁরা সেখানে পৌঁছান।
এর আগে আজ সকালে খাগড়াছড়ি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় দিনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সকাল ৭টার দিকে তাঁরা খাগড়াছড়ির চেঙ্গী ব্রিজ থেকে রাঙামাটির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মো. আলী আহমেদ খান, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এ এস এম শাহেন রেজা, সুবিনয় ভট্টাচার্য ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের পরিচালক মশিউর খন্দকার।
আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, আজ দুপুর ১২টায় রাঙামাটি শহরে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই তাঁরা রাঙামাটি শহরে প্রবেশ করে। এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা সাতে আহমেদসহ পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি সাজেক থেকে ‘ট্যুর ডি সিএইচটি’ মাউন্টেইন বাইক প্রতিযোগিতা গতকাল শুক্রবার শুরু হয়। এই প্রতিযোগিতা আগামীকাল রোববার মহান স্বাধীনতা দিবসে বান্দরবানের নীলগিরিতে গিয়ে শেষ হবে।
মোট ২৫০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথে সাইকেল চালাবেন ৪১ জন প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতায় একজন নারীও অংশ নিয়েছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে এই বাইক প্রতিযোগিতা। এতে সহযোগিতা করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও পুলিশ।
এদিকে এই প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, আগামীতে যাতে তিন পার্বত্য জেলার ছেলেমেয়েরা এই বাইক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে সেজন্য আগে থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এ এস এম শাহেন রেজা ও সুবিনয় চাকমা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেক আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য অমিত চাকমা রাজু, সুবীর চাকমা, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে যথাক্রমে ৮০ হাজার, ৬০ হাজার ও ৪০ হাজার টাকার সমপরিমাণ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। যাতে বিজয়ীরা ভারতে একই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
আয়োজকরা জানায়, তরুণদের উৎসাহ দেওয়া ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটনকে আরো আকর্ষণীয় করাই এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য।