পুলিশ নিয়ে দুই কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকিয়েছি : সাক্কু

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
কুমিল্লা নগরীর হোচ্ছা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সাক্কু।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এর পর সোয়া ৯টার দিকে কুমিল্লা মডার্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা।
সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হোচ্ছা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। এ সময় সাক্কু অভিযোগ করে বলেন, ‘দুটি কেন্দ্রে আমার প্রতিনিধিদের ঢুকতে দেই নাই। আমি নিজে পুলিশকে সঙ্গে নিয়া ঢুকাই দিয়া আইছি।’
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, ‘নারী ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ বেশি দেখলাম। পরিবেশ এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু রয়েছে। আশা করি, দিনের বাকি অংশগুলো এই পরিবেশ বিরাজ করবে।’
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে সাক্কু ও সীমা ছাড়াও আছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) শিরিন আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন ১১৪ ও সংরক্ষিত কাউন্সিল প্রার্থী ৪১ জন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি। ওই সিটিতে নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৪৭ জন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ১১৯ জন। ২৭টি ওয়ার্ড ও নয়টি সংরক্ষিত আসন আছে। ভোটকেন্দ্র আছে ১০৩টি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীজুড়ে টহলে নামেন বিজিবি সদস্যরা। নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে এক হাজার ৬৭৮ জন পুলিশ, এক হাজার ২৩৬ জন আনসার, ৪৮০ জন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ৩২২ জন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়জন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন ৩৬ জন।