‘স্বপ্নে জানতে পারি, ইয়াসমিনের লাশ বাঁশঝাড়ে’
পাঁচ বছরের শিশু ইয়াসমিনের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নে। গত ২৯ মার্চ বিকেলে নানা বাড়ি থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় সে। তিনদিন পর ইয়াসমিনের লাশ আমলকি গ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে যান ইব্রাহিম (১৮) নামের এক যুবক।
ইব্রাহিমের দাবি, স্বপ্নে ইয়াসমিনের লাশ একটি বাঁশঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন তিনি। ওই স্বপ্নের ওপর ভিত্তি করেই নাকি ইয়াসমিনের লাশ খুঁজে পান তিনি। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ইব্রাহীম সম্পর্কে ইয়াসমিনের মামা। তাঁর বাবার নাম আলম মিয়া। রিকশা চালিয়ে উপার্জন করেন ইব্রাহীম।
জোয়াগ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান তালুকদার জানান, ইয়াসমিন নিখোঁজ হওয়ার পর ইব্রাহিম এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেন। পরে তিনি ইয়াসমিনের লাশ তুলে তার বাড়িতে নিয়ে যান এবং সবার কাছে দাবি করেন তিনি নাকি স্বপ্নে লাশটি বাঁশঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর আবার গা ঢাকা দেন ইব্রাহীম। এতে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
মেহেদী হাসান আরো জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ইব্রাহিম চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার মিয়াবাজার এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে ওই এলাকার চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জোয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় যুবক আবুল বাশার ও ছিদ্দিকুর রহমান ছোটনকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার রাতে ইব্রাহিমকে আটক করা হয়। পরে চান্দিনার নবাবপুর বাজারে এনে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে চান্দিনা থানা পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেয়।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা এনটিভি অনলাইনকে জানান, ইয়াসমিনকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ইব্রাহিম। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।