ঝালকাঠিতে পাঁচ জেএমবি সদস্যের ফাঁসির আদেশ
ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুল হালিম এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন জেএমবি সদস্য আমির হোসেন, শাহাদাত হোসেন, মুরাদ হোসেন, বেল্লাল হোসেন ও সগির হোসেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় প্রথম তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বেল্লাল ও সগির পলাতক।
হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এম আলম খান কামাল। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন লুৎফর রহমান এবং পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন মঞ্জুর হোসেন।
এম আলম খান কামাল জানান, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেএমবির ছোড়া বোমায় ঝালকাঠি আদালতের বিচারক সোহেল আহম্মেদ এবং জগন্নাথ পাঁড়ে নিহত হন। এ মামলায় সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন পাবলিক প্রসিকিউটর হায়দার হোসাইন। আদালতে জেএমবির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পিপি হায়দার হোসাইন কোরআন-হাদিস এবং তথ্য-উপাত্তের আলোকে তাদের বক্তব্যের অসারতা প্রমাণ করেন। ২০০৬ সালের ২৯ মে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমদ সাত জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দেন। জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইসহ শীর্ষ সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয় ২০০৭ সালের ২১ মার্চ।
শায়খ আবদুর রহমানসহ জেএমবির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হওয়ার ২০ দিন পর ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি হায়দার হোসাইনকে গুলি করে হত্যা করে জেএমবির ক্যাডাররা। এ ঘটনার পরের দিন নিহতের একমাত্র ছেলে তারিক বিন হায়দার বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বলে জানান সরকারপক্ষের এ কৌঁসুলি।
এম আলম খান কামাল আরো বলেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক মোশারেফ হোসেন হত্যার ঘটনার প্রায় তিন বছর পর ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি জেএমবির পাঁচ ক্যাডারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাত বছর পর আজ বুধবার এ হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়।