মিয়ানমারে গেছে বিজিবির প্রতিনিধিদল

নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে আনতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে মিয়ানমারের মংডুর উদ্দেশে রওনা হয়েছে বিজিবির প্রতিনিধিদল। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টায় প্রতিনিধিদল রওনা হয়।
সকাল ১০টায় এ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আধা ঘণ্টা পর বৈঠকটি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বিজিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন টেকনাফে বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু জার আল জাহিদ। প্রতিনিধিদলে একজন মেডিকেল অফিসারও থাকবেন। এর আগে বৈঠকে বসার সম্মতি জানিয়ে ২৩ জুন বিকেলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) বাংলাদেশকে চিঠি দেয়।
এতদিন নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে নানা শর্ত আরোপ করে আসছিল মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ। শেষ পর্যন্ত কোনো শর্ত ছাড়াই আজকের বৈঠক হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
প্রতিদিনের মতো বিজিবির সদস্যরা গত বুধবার, ১৭ জুন সকালে দমদমিয়া চেকপোস্টের বিপরীতে লালদিয়ায় টহল দিচ্ছিলেন। ওই সময় একদল চোরাকারবারিকে ধাওয়া করেন বিজিবির সদস্যরা। একপর্যায়ে চোরাকারবারিরা বিজিবির আওতার বাইরে চলে যায়। এ সময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বিজিবির টহল দলের ওপর গুলি চালায়। এতে বিপ্লব নামের এক বিজিবির সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় নায়েক রাজ্জাক নাফ নদীতে পড়ে গেলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।
এর তিন দিন পর নায়েক রাজ্জাকের হাতকড়া পরা ছবি প্রকাশ করে বিজিপি। এর পর দফায় দফায় পতাকা বৈঠক ও রাজ্জাককে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও এতে সাড়া দেয়নি প্রতিবেশী দেশটি। সে সঙ্গে রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিল তারা।