সাফাতের বাসায় অবস্থানের তথ্যে ‘গরমিল’
রাজধানীর হোটেলে আটকে রেখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার ১ নম্বর আসামি সাফাত আহমেদের বাসায় অবস্থানের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
সাফাতকে গ্রেপ্তারে আজ মঙ্গলবার তাঁর গুলশান ২ নম্বর সেক্টরের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কিন্তু সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ গণমাধ্যমকে বলছিলেন, তাঁর ছেলে বাসাতেই আছে। কিন্তু আজ অভিযান চালানোর সময় পুলিশ তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তা অস্বীকার করেন।
তবে সাফাতের বাসার তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) মেহেদী হাসান দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, গত পরশু সাফাত বাসায় এসেছিল। কিন্তু সে সময় কাউকে কিছু না বলে গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন।
মেহেদী হাসান আরো জানান, আজ বেলা ১১টার পর বাসায় পুলিশ এসেছিল। তারা বাসার সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুরো বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক মেহেদী হাসান এ সময় সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘আপনি-আমি চাইলেই একজন সংবাদ উপস্থাপককে বিয়ে করতে পারব না। যেহেতু সাফাতের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক, তাই তাঁর অগাধ সম্পত্তির দিকে ওই সংবাদ উপস্থাপিকার নজর ছিল বলেই ব্ল্যাকমেইল করে সাফাত আহমেদকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন আগে তাঁদের ডিভোর্স হয়েছে।’ ওই সংবাদ উপস্থাপিকা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মেহেদী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতের জন্মদিনের দাওয়াত পেয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে যান ওই দুই ছাত্রী। এ সময় রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী, বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ একাধিকবার এবং বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন।