বনানী থানার অবহেলা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি
রাজধানীর বনানী থানা এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা নিতে বিলম্ব করা ও কর্তব্য পালনে পুলিশের অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায়।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে কৃষ্ণপদ বলেন, তিন সদস্যের এই কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারকে (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস)। অন্য দুজন হলেন ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার ও ডিএমপির যুগ্ম কমিশনারকে (অপরাধ)।
সংবাদ স্মমেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘ওই ঘটনায় ভিডিও ধারণ বা তা ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়গুলো মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। আর এই মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় আমরা অন্য তথ্যগুলো পেয়ে যাব বলে আশা করছি।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মামলাটি ডিএমপির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ডিবি ও গুলশান পুলিশ ছায়া তদন্ত করেছে। পাশাপাশি তদন্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিষয়টি সমন্বয় করছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
ডিএমপির এই যুগ্ম কমিশনার আরো জানান, মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের বাইরে অন্য কেউ যুক্ত আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেই অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী। মামলার আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ একাধিকবার এবং বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তাঁর মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।