পরিবারের দাবি ধরে নিয়ে গুলি, পুলিশ বলছে বন্দুকযুদ্ধ
চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় সালাহ উদ্দিন (২৮) নামের এক যুবককে ধরে নিয়ে পুলিশ পায়ে গুলি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে পুলিশ বলছে, তাঁকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে সহযোগীদের গুলিতেই সালাহ উদ্দিন আহত হন।
আজ রোববার ভোরে পুলিশ পাহারায় সালাহ উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালাহ উদ্দিন চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। সালাহ উদ্দিন ও তাঁর ভাইয়ের নিজেদের ওয়ার্কশপে কাজ করেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সালাহ উদ্দিনের বড় ভাই ফোরকান উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ইফতার কেনার সময় সাদা পোশাকের তিন পুলিশ আতুরারডিপো এলাকা থেকে সালাহ উদ্দিনকে আটক করে। এ সময় তাঁদের ছোট ভাই সরোয়ার মুন্না সালাহ উদ্দিনকে আটকের কারণ জিজ্ঞেস করলে পুলিশ মুন্নাকে লাঠিপেটা করে।
ফোরকান বলেন, ‘পরে রাত ২টার দিকে ১৮-২০ জনের পুলিশের একটি দল সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে কামরাবাদে আমাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ করে। পরে সালাহ উদ্দিনের এক সেট জামা নিয়ে চলে যায় পুলিশ। পরে আজ রোববার সকালে এক ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দায় পুলিশি পাহারায় সালাহ উদ্দিনকে দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। গিয়ে দেখা যায়, সালাহ উদ্দিনের বাঁ পায়ে গুলি করা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ দাশ জানান, আহত সালাহ উদ্দিন কারাবন্দি ছাত্রশিবির নেতা ম্যাক্সসন সরোয়ারের সহযোগী। সালাহ উদ্দিন ম্যাক্সনের হয়ে প্রবাসী জাকের হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি করে। পরে অভিযোগ পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
ওসি আরো জানান, পরে রাত আড়াইটার দিকে সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে অনন্যা আবাসিক এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তাঁর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় তাঁর সহযোগীদের ছোড়া গুলিতেই সালাউদ্দিন আহত হন।