সাংবাদিক বালু হত্যার বিচার দাবি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/28/photo-1435503844.jpg)
দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক ও খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবীর বালুর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রোববার খুলনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিটির উদ্যোগে বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিটির আহ্বায়ক গৌরাঙ্গ নন্দী। বক্তব্য দেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদ হোসেন ও কাজী মোতাহার রহমান বাবু, দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক এস এস সাহিদ হোসেন, প্রবর্তনের সম্পাদক মোস্তফা সারোয়ার, ইউনিটির সদস্য সচিব শাহ আলম, আলহাজ আবু তৈয়ব, বিএফইউজের সহসভাপতি মামুন রেজা, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী মাহাবুব আলম সোহাগ, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা, সোহরাব হোসেন, খুলনা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, কৌশিক দে, হেদায়েত হোসেন, মোস্তফা জামাল পপলু, মিজানুর রহমান মিল্টন প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দেবব্রত রায়, কাজী শামীম আহমেদ, নাজমুল হক পাপ্পু, শেখ হেদায়েতুল্লাহ, শাহ নেওয়াজ, খায়রুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, বাপ্পী খান, আল মাহমুদ প্রিন্স, আজিজুল, বিমান সাহা, কামরুল আলম মনি প্রমুখ।
সভায় বালু হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী নিযুক্ত হওয়া আশরাফুল ইসলাম বাচ্চু ও বালু সম্পর্কে কটূক্তিকারী এরশাদ আলীকে অবিলম্বে প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানানো হয়। সভায় বালু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানদাতাসহ খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ জন্য বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০০৪ সালের ২৭ জুন দৈনিক জন্মভূমি কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় নিহত হন হুমায়ুন কবীর বালু। সে সময় খুলনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের পৃথক ধারায় দুটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ অভিযোগপত্র জমা দেয়। প্রায় চার বছর ধরে হত্যা মামলার বিচার চলার পর ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে মামলার সাত আসামি বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। এই ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলার অধিকতর তদন্ত গত ছয় বছরেও শেষ হয়নি। ২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু জাফরের আবেদনের পর বিস্ফোরক মামলাটি ওই বছরের ১০ মে অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। বর্তমানে মামলার এই অংশটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।