রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণেই থাকবে : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রমজান মাস উপলক্ষে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের যথেষ্ট মজুদ আছে। তাই এসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।
আজ রোববার রাজধানীর পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে আমদানি-রপ্তানি দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রকের অফিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আমদানি-রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রক আফরোজা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসু বক্তব্য রাখেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ই-ফাইলিং চালু করার ফলে স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত ব্যবসায়ীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে এর অর্ধেকেরও বেশি আয় করে এ আমদানি-রপ্তানি অফিস থেকে। নতুন অফিসে কাজের পরিবেশ উন্নত এবং আধুনিক ব্যবস্থাপনার কারনে এখানে কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমদানি-রপ্তানি অফিসে ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল সেবা দেওয়া হচ্ছে। সেবা গ্রহণের জন্য ব্যবসায়ীদের আবেদন অন লাইনে গ্রহন করা হয় এবং অনলাইনেই রেজিস্ট্রেশন প্রদান ও নবায়ন করা হয়। ফলে ব্যবসায়ীদের জন্য এ সেবা প্রাপ্তি সহজ হয়েছে। বাণিজ্য সহজ এবং ব্যবসায়ীদের দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য এ অফিসে ডিজিটাল সেবা প্রদান ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমদানি-রপ্তানি করতে ব্যবসায়ীদের সেবা নেওয়ার এখন আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় না। এর ফলে দেশে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাণিজ্যিক আমদানি নিবন্ধন সনদ(আইআরসি) সেবা সহজ করা হয়েছে, তিনদিনের স্থলে একদিন ১২ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময়ে এবং ১৫টি ধাপের স্থলে ১০টি ধাপে আইআরসি জারি করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বাণিজ্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস গুলোকে দ্রুত সেবা দেওয়ার জন্য অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর সুফল এখন ব্যবসায়ীরা ভোগ করছে। গত অর্থবছর আমাদের রপ্তানি আয় ছিল ৩৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৭৭ ভাগ। এ বছর রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২১ সালে এ রপ্তানির পরিমান দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার ঘোষিত সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং পণ্যের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে দেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আইটি, ওষুধ, ফার্নিচার, জাহাজ নির্মাণ, জুট পন্য, কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। রপ্তানি ক্ষেত্রে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, ফলে দেশের রপ্তানি দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সময় ও প্রয়োজনের সঙ্গে তালমিলিয়ে বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেবা দেওয়ার সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।