হোটেল রেইনট্রির কাছে ‘ঘটনা’ শুনল মানবাধিকার কমিশন
বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে জানতে ওই হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের তলব করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার রেইনট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষ মানবাধিকার কমিশনে এসে কমিশনের অনুসন্ধান কমিটির কাছে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে। তবে পুলিশ আসেনি। এ ব্যাপারে তারা সময় চেয়েছে কমিশনের কাছে।
চারতারকা মানের হোটেলে কীভাবে ছাত্রীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছে, সেখানে হোটেল কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ কী ভূমিকা পালন করেছে তা জানতে হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের তলব করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান কমিটি। নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বিকেলে কমিশনে আসে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে জানানো হয়, ওই ঘটনা তদন্তে যাদেরই জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে কমিশন।
গত ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ এনে বনানী থানায় মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ, গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের আমন্ত্রণ জানিয়ে হোটেল রেইনট্রিতে নেওয়া হয়। এরপর তাঁরা ধর্ষণের শিকার হন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়। মামলার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হোটেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান ফারুক। তিনি বলেন, ‘এখানে যদি কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে থাকে আমরা চাই তদন্তের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যাঁরা আছেন তাঁরা এর কড়া বিচার করুক।’
আদনান ফারুক আরো বলেন, ‘আমার পরিবার এবং প্রতিষ্ঠানের যারা কর্মকর্তা আছেন, তাঁদের পরিবার তারা সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত হচ্ছে, ছোট হচ্ছে, হেয় হচ্ছে।’
মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম জানান, চলমান তদন্তে তাঁরা হোটেল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, ধর্ষণের শিকার দুই ছাত্রী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলছেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই যে ঘটনাটি ঘটল এখানে রেইনট্রি কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতাটি কতটুকু বা তাদের ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে কী করে সেখানে দুজনের নামে হোটেল বুক করে অন্যরাও থাকলেন কীভাবে সেই পারিপার্শ্বিক অবস্থাটা তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছি।’
নজরুল ইসলাম জানান, পুলিশ নিজেরা প্রস্তুত নয়, এমনটা দাবি করে কমিটির কাছে সময় চেয়েছেন গুলশান জোনের উপকমিশনার ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তাঁদের আগামী ৪ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।