পদায়ন নিয়ে পুলিশের ‘ঘুষ বাণিজ্য’, বরখাস্ত ১০

কনস্টেবলের শূন্য পদে পদায়নের আশ্বাস দিয়ে ঘুষ বাণিজ্য করার অভিযোগে বরিশাল মহানগর পুলিশের (বিএমপি) ১০ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি আদেশ গত ২৭ জুন দুপুরে বিএমপি দপ্তরে এসে পৌঁছায়।
বিএমপি কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জড়িতদের ব্যাপারে ঘটনা তদন্তে বিএমপির উপপুলিশ কমিশনার শোয়েব আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরা পুলিশ দপ্তরের সিকিউরিটি সেলের পাশাপাশি নিজস্ব আদলে তদন্ত করবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন বিএমপির রিজার্ভ কার্যালয়ের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আনিসুজ্জামান, এএসআই মনির হোসেন, নায়েক মো. কবির হোসেন, চালক কনস্টেবল শহীদুল ইসলাম, কনস্টেবল বাবলু জোমাদ্দার, রেশন স্টোর কিপার কনস্টেবল মো. আব্বাস উদ্দিন, কনস্টেবল আরিফুর রহমান, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কনস্টেবল তাপস কুমার মণ্ডল, চালক কনস্টেবল দোলন বড়াল এবং এএসআই হানিফ।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বিএমপির প্রায় ২৩০ জন কনস্টেবল পদোন্নতির পরীক্ষায় পাস করে বসে আছেন শূন্য পদ সৃষ্টির আশায়। একে পুঁজি করে পুলিশ সদস্যদের একটি চক্র পদায়নের আশা দিয়ে উৎকোচ গ্রহণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে টাকা ওঠানোর বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর জানতে পেরে মাঠে নামে সিকিউরিটি সেল।
বিএমপির উপপুলিশ কমিশনার ও তদন্ত কমিটির প্রধান শোয়েব আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, গত ১৭ জুন জরুরি ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে বরিশাল থেকে তলব করে ঢাকার সিকিউরিটি সেলে নেওয়া হয় এখানকার উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জিল্লুর রহমানের দেহরক্ষী কনস্টেবল বাবলু, অস্ত্রাগারে কর্মরত পুলিশের নায়েক কবির এবং কাউনিয়া থানায় কর্মরত এএসআই মনিরকে।
‘এদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যানুযায়ী দ্বিতীয় দফায় গত ১৯ জুন আরেকটি ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে জরুরি তলব করে ঢাকায় নেওয়া হয় এখানকার রিজার্ভ অফিসার-২ এএসআই আনিসকে।’
এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরিশালে কর্মরত এএসআই (সশস্ত্র) কামালকেও ঢাকায় ডেকে নেয় সিকিউরিটি সেল। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান শোয়েব আহমেদ।