নাশকতার ছক নিয়ে এগোচ্ছিল আল-কায়েদা : র্যাব
আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা একিউআইএসের বাংলাদেশি প্রধান সমন্বয়ক, উপদেষ্টা ও ১০ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড আ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। দুদিন ধরে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঈদের পর দেশে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনাও ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদের তারা স্বীকার করেছে বলেও জানায় র্যাব।
সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আইমান-আল জাওয়াহিরি সম্প্রতি ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদা ইসলামিক স্টেট করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলো বিভিন্ন অপতৎপরতা শুরু করে বলে জানায় র্যাব।
তারই ধারাবাহিকতায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নিষ্ক্রিয় সদস্যরা ভিড়তে থাকে আল-কায়েদায়। গত দুদিনে র্যাবের অভিযানে সংগঠনটির বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা মাইনুল ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টা মুফতি জাফর আমিনসহ গ্রেপ্তার হয় ১২ জঙ্গি সদস্য। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় অস্ত্রসহ অসংখ্য জিহাদি বই এবং নাশকতার সরঞ্জাম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের র্যাব কার্যালয়ে হাজির করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ বলেন, এসব জঙ্গি এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য বগুড়ার একটি মাদ্রাসাকে নির্বাচন করেছে। সেখানে ২০ জনের একটি দল যাওয়ার কথা ছিল। এরা ৩১৩ বদরের সৈনিক নামে পরিচিত। এদের অর্থদাতাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। সৌদি আরব ও দুবাই থেকে মুফতি জাফর আমিন জনৈক ব্যক্তিকে বিভিন্ন সময়ে অর্থ পাঠিয়েছে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের উদ্দেশ্য ছিল, ঈদের পরপরই দেশের বড় ধরনের নাশকতা তৈরি করে হুজির কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্ত করা। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে অস্ত্র ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা ছিল বলেও জানায় র্যাব।
কমান্ডার মুফতি মাহমুদ আরো জানান, এদের প্রধান পরিকল্পনা ছিল হুজির প্রধান নেতা মুফতি মাঈনুদ্দিনকে যে কোনোভাবে হোক কারাগার থেকে মুক্ত করা। প্রশিক্ষণ শেষে তারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি সংগঠনেও যোগ দিতে চেয়েছিল। এ ছাড়া নাশকতার মাধ্যমে নিজেদের সাংগঠনিক অবস্থানও তারা জানান দিতে চেয়েছিল।
র্যাব জানায়, সদস্য সংগ্রহের জন্য এসব জঙ্গি সংগঠন বর্তমানে বেছে নিয়েছে ফেসবুক, টুইটার কিংবা ভাইবারের মতো ইন্টারনেট মাধ্যম।