উদ্ধারকাজে নিহত সৈনিক শাহিন বগুড়ায় চিরনিদ্রায়
মা সেলিনা বেগমের চার সন্তান। তিনজন মেয়ে। ছেলে ছিলেন একজনই—মো. শাহিন আলম। বড় আদরের ছিলেন তিনি। ছেলেকে হারিয়ে সেলিনা শোকে পাথর হয়ে গেছেন। দেশের কাজে জীবন দিয়ে একমাত্র ছেলে শাহিন চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
গত মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি শহরের মানিকছড়িতে পাহাড়ধসের পর উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে নিহত হন সেনাসদস্য শাহিন আলমসহ (২৯) পাঁচ সেনাসদস্য। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক। ২০০৬ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
নিহত শাহিন পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলের বাবা ছিলেন। তাঁর স্ত্রী চমন বেগম পুলিশে চাকরি করেন।
নিহত শাহিন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ধনতলা গ্রামের বাসিন্দা। আজ বৃহস্পতিবার নিজ গ্রামে শাহিনকে দাফন করা হয়। এর আগে বেলা ১২টায় সেনা হেফাজতে সৈনিক শাহিন আলমের মরদেহ গ্রামের বাড়ি ধনতলায় পৌঁছায়। পরে বাদ জোহর ধনতলা আলিম মাদ্রাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ জানাজায় অংশ নেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
সেলিনা বেগম ছেলের শোকে বাকরুদ্ধ। গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বগুড়া সেনানিবাস থেকে মোবাইল ফোনে জানতে পারেন তাঁর সন্তান পাহাড়ধসে নিহত হয়েছেন। এর পর থেকেই পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। একমাত্র সন্তান হারিয়ে সেলিনা বেগম পাগলপ্রায়।