রফিকসহ বিএনপির ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজধানীর পল্লবী থানায় নাশকতার একটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন।
আজ আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার দিন নির্ধারণ ছিল। বিচারক পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাঁদের পলাতক দেখিয়ে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, অ্যাডভোকেট সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া, বিএপির চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হাসান, কর্মী মো. গোলাম মোস্তফা, ফরহাদ আলম ভূইয়া, মহিউদ্দিন সোহাগ, নওশাদ আলম, নুরুজ্জামান ওরফে নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুল আমিন গাজী, নয়ন বাঙ্গালী, রাইসুল ইসলাম পবন, নুর সালাম ও মো. সানি।
এর মধ্যে এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে সৈয়দা আশরাফী পাপিয়া জামিন পেলেও তাঁর আইনজীবী আদালতকে এ বিষয়ে অবহিত করেননি, বিচারক তাঁর বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেন। এ মুহূর্তে কারাগারে আছেন বিএনপির এই নেত্রী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি বিএনপির হরতাল-অবরোধ চলাকালে পল্লবী থানার ১১ নম্বর সেকশনে মেইন রোডে আসামিরা শিকড় পরিবহনে যাত্রী হত্যার উদ্দেশ্যে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এ ঘটনায় যাত্রীবাহী শিকড় পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো জ ১১-১১৫৭) বাসচালক চালক জাকির হোসেন পল্লবী থানায় মামলাটি করেন।
পরে চলতি বছর ৩০ এপ্রিল পল্লবী থানার উপপরিদশক (এসআই) আবু সাঈদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, অ্যাডভোকেট সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মারুফ কামাল, হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় অন্যতম আসামি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন। বাকিরা কারাগারে ও জামিনে রয়েছেন।