দখিনা হাওয়ায় এলো ঋতুরাজ

পথে-প্রান্তরে ফুটতে শুরু করেছে বসন্তের নানা ফুল। উত্তরের হাওয়ায় সেই ঘ্রাণ যেন বসন্তের আগমনের ঘোষণা দিল প্রকৃতিতে। দখিনা হাওয়ায় দোল লাগিয়ে, কোকিলের চিরন্তনী ডাকে প্রকৃতিতে এলো ঋতুরাজ বসন্ত। আজ শুক্রবার। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন-পহেলা ফাল্গুন।
শীতের হাওয়া এখনো বিদায় নেয়নি বাংলার বুক থেকে। তাতে কি? আয়োজন করে বসন্তকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা থাকে প্রতিটি বাঙালির। গাছের ডালে, ফুলে, ফলে, পাতার আড়ালে অভিষেক হয় বসন্তের। প্রভাতবীণায় কণ্ঠ মিলিয়ে ভোরের পাখি স্বাগত জানায় নতুন সময়কে। এই বসন্তের খানিকটা ছোঁয়া পেতে এক কাতারে শামিল হতে চান সব বয়সী মানুষ।
বসন্তই বাঙালির ঐক্যের বাঁশি বাজায়। বসন্তেই ভাষা আন্দোলনের শুরু। বসন্তজুড়েই যেন আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায় সেই অমর গানের কথা, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...’। আর এই বসন্তেই প্রতিটি বাঙালির জীবনের গৌরবময় অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, ১৮ বছর আগে বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করছে।
আজ সকাল ৭টায় চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় যন্ত্রসংগীতের মূর্ছনার মধ্যদিয়ে শুরু হবে বসন্ত আবাহন। সেখানেই বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে বসন্ত বন্দনার উৎসব।
এ ছাড়া বিকেল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একযোগে বসন্ত আবাহনের উৎসব চলবে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক, ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর মঞ্চ ও উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের উন্মুক্ত মঞ্চে।