জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন সাদমানের
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীকে ‘ধর্ষণের’ মামলায় কারাবন্দি আসামি সাদমান সাকিফ তাঁর জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
আজ রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শফিউল আজমের আদালতে সাদমান এই আবেদন করেন।
আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাদমান সাকিফ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি যে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলাম, সেটা স্বেচ্ছায় বা সজ্ঞানে দিইনি। পুলিশ আমাকে হয়রানি ও মারধর করে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করেছে। তাই এই জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে লিখিত আবেদন করেছি।’
সাদমানের ওই বক্তব্যের পর বিচারক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনটি মামলার নথিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আলী আকবর সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, আজ মামলাটিতে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য থাকলেও আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ জুলাই নতুন করে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি।
অভিযোগপত্রে থাকা অন্য আসামিরা হলেন সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী। মামলার পাঁচ আসামির সবাই কারাগারে আছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা।
বাদীকে সাফাত আহমেদ ও বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তাঁর মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।