বাবাকে কুপিয়ে কলেজছাত্রীকে অপহরণ
লক্ষ্মীপুরে বাবাকে কুপিয়ে এবং মাকে পিটিয়ে অস্ত্রের মুখে এক কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেছে হেলাল উদ্দিন (২৬) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজ রোববার সকালে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে শনিবার রাতে হেলাল ১০ থেকে ১২ জন সহযোগী নিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাড়িতে হামলা চালিয়ে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় কলেজছাত্রীর বাবাকে (৫৪) কুপিয়ে ও তার মাকে (৪৩) পিটিয়ে আহত করে অপহরণকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অপহৃত কলেজছাত্রী এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
পুলিশ ও অপহৃতার পরিবার জানায়, পৌরসভার আবিরনগরের বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক হেলাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ওই কলেজছাত্রীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর মা-বাবা তাদের রান্না ঘরে খাবার খেতে যান। এ সময় বখাটে হেলাল ও তার সহযোগীরা রান্না ঘরে তাদের আটকে রেখে বসত ঘরে ঢুকে। পরে ওই ছাত্রীর মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেয়ের চিৎকার শুনে বাবা-মা রান্না ঘরের বেড়া ভেঙে বের হয়ে অপহরণকারীদের বাধা দেয়। এ সময় বাবাকে কুপিয়ে এবং মাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রীর বাবা বলেন, ’১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী রাতে আমার বসতঘরে এসে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে ও মারধর করে অস্ত্রের মুখে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।’
ছাত্রীর মা বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। আমি আমার মেয়েকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেতে সরকার ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।’
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই ছাত্রীর বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। অপহৃতাকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।