বান্দরবান-রুমা সড়ক যোগাযোগ চালু হচ্ছে সোমবার
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/07/09/photo-1499617531.jpg)
পাহাড় ধসে বিধ্বস্ত বান্দরবানের রুমা উপজেলা সড়ক যোগাযোগ চালু হচ্ছে কাল সোমবার। টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে গত ১২ জুন সড়কটি বিধস্ত হওয়ার পর থেকে ওই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি প্রকৌশল শাখা সড়কটি সংস্কারের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে হালকা যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত করে তুলেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামীকাল সোমবার সকালে সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি প্রকৌশল শাখার ওয়ারেন্ট অফিসার সৈয়দ নাজমুল হুদা।
সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, গত মাসের ১২ জুন অতিবৃষ্টিতে বান্দরবান-রুমা সড়কের দলিয়ানপাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে রুমা উপজেলা সড়ক বিধ্বস্ত হয়। বৃষ্টিতে বিশাল পাহাড়ের একটি অংশসহ সড়কটি সম্পূর্ণ ধসে পড়ে। ফলে বান্দরবান-রুমা উপজেলা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ২৭ দিন ধরে রুমা উপজেলা সড়কে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় লোকজন মধ্যেখানের কয়েক শ ফুট রাস্তা পাহাড়ের ঢালু বেয়ে হেঁটে চলাচল করছে। বিধ্বস্ত সড়কের দুই পাশ পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে রুমা উপজেলায় পণ্যবাহী কোনো যানবাহন পৌঁছাতে না পারায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট তৈরি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ দাম আদায় করে চলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শৈহ্লাচিং মারমা ও মোহাম্মদ সেলিম বলেন, অতিবৃষ্টিতে গত মাসের ১২ জুন পাহাড় ধসে রুমা উপজেলা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ধসে পড়া সড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল করলেও যাত্রীদের গুনতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া। পণ্যবাহী যানবাহন রুমায় পৌঁছাতে না পারায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির জন্য জিনিসপত্রের সংকট এবং সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকার ওপর দায় চাপায়। চরম দুভোর্গ পোহাতে হয় স্থানীয়দের।
তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় হালকা যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত হয়ে পড়েছে বিধস্ত সড়কটি। সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিলেই পরিস্থিতি আবারও স্বাভাবিক হয়ে আসবে প্রত্যাশা উপজেলাবাসীর।
সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি প্রকৌশল শাখার ওয়ারেন্ট অফিসার সৈয়দ নাজমুল হুদা জানান, অতি বৃষ্টিতে খাড়া পাহাড়টি বিপজ্জনকভাবে ধসে পড়ে। পাহাড়ের ধসে পড়া নিচের মাটি সরানো হলে ওপর থেকে আবারও পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ছে। ফলে সড়কটি চালু করতে সময় লাগছে বেশি। তারপরও সড়কটি মোটামুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উপযুক্ত করে তোলা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সোমবার থেকে সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।