দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর তা প্রত্যাহার করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর বাস মালিক সমিতি। সৈয়দপুরের মালিকের একটি বাস টাঙ্গাইলে আটকের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। এই সড়ক অবরোধের কারণে সৈয়দপুর দিয়ে ঢাকা, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওসহ সারা দেশের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সমস্যা নিরসনে দুপুরের দিকে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেনের সঙ্গে মালিক সমিতির আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জনদুর্ভোগ বিবেচনা করে অবরোধ সাময়িক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে আগামীকাল শনিবার নীলফামারী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যৌথ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আলোচনার পর দুপুরের পর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার হলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন জানান, প্রশাসনের পক্ষে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে সেখানকার মালিকপক্ষ ও টাঙ্গাইলের বাস মালিকদের সঙ্গে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। এ বিষয়ে আগামীকাল শনিবার সৈয়দপুর ও টাঙ্গাইল বাস মালিকদের মধ্যে বিরোধমান সমস্যা কাটিয়ে তুলতে একটি জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সৈয়দপুর মালিকের নাদের পরিবহনের একটি নৈশকোচ যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যায়। আজ ভোরে ওই বাস টাঙ্গাইলে আটকে দেয় সেখানকার পরিবহন মালিক সমিতি। এ খবর পেয়ে সকাল ৭টা থেকে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়কে আড়াআড়ি করে গাড়ি রেখে অবরোধ শুরু করে মালিক সমিতি। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আটকা পড়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এ অঞ্চলের নৈশকোচ ও এ অঞ্চল থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী ডে-কোচসহ আন্তজেলার সব যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন যানবাহন। চলমান রোজা ও আসন্ন ঈদের আগে এই অবরোধের ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।