রাজন হত্যা : মুহিতের স্ত্রী আটক
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুহিত আলমের স্ত্রী লিপি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর খালাতো বোন সোহানা বেগমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে লিপিকে আটক করা হয়।
সিলেট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, লিপিকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের ধরতে প্রয়োজনীয় তথ্য বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ দিকে মামলার প্রধান আসামি মুহিত আলমকে পাঁচ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নিয়েছে পুলিশ। মুহিতের আত্মীয় আটক ইসমাইলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি আখতার হোসেন।
এদিকে, রাজন হত্যার অন্যতম আসামি কামরুল ইসলামকে সৌদি আরবের রাজধানী জেদ্দায় আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে স্থানীয় বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় কামরুলকে আটক করেন কনস্যুলেট কর্মকর্তারা।
সিলেটে ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক খায়রুল ফজল জানান, গত ১০ জুলাই দুপুর ২টায় কামরুল সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন।
গত ৮ জুলাই সকালে সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু রাজনকে। হত্যাকান্ডের ভিডিওচিত্রও ধারণ করা হয়। পরে লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে কামরুলের ভাই মুহিত আলমকে। পরে মুহিতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মুহিত, কামরুল, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।