কলেজছাত্রীকে ফুসলিয়ে বাগানে, অচেতন করে গণধর্ষণ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বখাটেরা। ওই ছাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বাড়ি বরিশালের গৌরনদী উপজেলায়। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তর বাবা-মাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুর থেকে এসব ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে গৌরনদীর খাঞ্জাপুর গ্রামের রিফাত আকনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এর সূত্র ধরে রিফাত বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীকে আজ দুপুরে কালকিনির মাইজপাড়া গ্রামের একটি বাগানে বেড়াতে নিয়ে আসে। এ সময় ছাত্রীকে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে ফেলে তারা। পরে রিফাত আকন ও তার চার-পাঁচজন বন্ধু ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রিফাত আকন তাকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রিফাত আকনের বাবা রাজ্জাক আকন ও তার মা রেহেনা বেগম ঘটনা জানতে হাসপাতালে এলে কালকিনি থানার পুলিশ তাঁদের আটক করে।
রাজ্জাক আকন ঘটনার সততা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমার ছেলে ও তার বন্ধুবান্ধব ঘটনা ঘটিয়েছে।’
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. একরাম হোসেন বলেন, ‘আমরা তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। তবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।’
কালকিনি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. শাহ আলম বলেন, ‘কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল ধর্ষক রিফাত আকনকে না পেয়ে তার বাবা-মাকে আটক করেছি।’
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং গৌরনদী থানার ওসিকে বলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর পরিবারকে খবর দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।