প্রধান বিচারপতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কী করতে পারেন আলোচনা হচ্ছে
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিষয়ে সংসদে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হাসানুল হক ইনু বলেন, রায়ের পর্যবেক্ষণে ও পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেই বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। এখন তাঁর বিষয়ে দেখতে হবে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গ সম্পর্কে তির্যক মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন কি না। তিনি সংসদকে কোনো নির্দেশ দিতে পারেন কি না।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘রায়ের পর্যবেক্ষণে একাত্তরের শান্তি কমিটি দিনে রাজাকারি রাতে মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী—এ মন্তব্য দিয়ে তিনি (প্রধান বিচারপতি) রাজাকারদের হালাল করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফাঁদ পাতছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
এ বিষয়ে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে—জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ রায় গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে কীভাবে একে আইনি প্রক্রিয়ায় প্রত্যাহারসহ রায় পুনর্বিবেচনা করা যায়, সেটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রধান বিচারপতির বিষয়ে সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কী ভূমিকা রাখতে পারেন, সেটা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতিকে স্বপ্রণোদিত হয়ে পদত্যাগের আহ্বান জানান মন্ত্রী। কোন কোন ক্ষেত্রে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত খারাপ, প্রশাসন নিম্নমানের কাজ করে, দেশে অবাধ দুর্নীতি চলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ, রাজনীতির বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে, ব্যবসায়ীরা সংসদে। এই কথাগুলো তিনি বলেছেন। এগুলো আপত্তিকর।’
এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব নিয়ে খণ্ডিত, বিকৃত ও উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য করা হয়েছে বলেও জানান হাসানুল হক ইনু।

নিজস্ব প্রতিবেদক