লক্ষ্মীপুরে ফেরিঘাটে শতাধিক যানবাহন আটকা
লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে মজু চৌধুরীর হাটের ফেরিঘাটে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। ফেরি সংকটের কারণে তিন-চারদিন ধরে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভোলা-রবিশালসহ ২১ জেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ নৌরুট।
আজ শুক্রবার বিকেলে মজু চৌধুরীর হাট ফেরিঘাটে ফেরি সংকটে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। এতে পরিবহন শ্রমিকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ফেরি সংকট থাকায় অনেক যাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুতুবদিয়া নামে একটি লঞ্চের ছাদে করে নদী পারাপার হতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল করপোরেশনের (বিআইডব্লিটিসি) কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী যাত্রীবাহী যানবাহন ও ছোট গাড়িগুলোকে ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাস না থাকায় ভারী যানবাহন ট্রাক ও কার্গো ভ্যান পারাপার অব্যাহত রয়েছে। মাঝে মাঝে ট্রাকচালক ও প্রাইভেটকারের লোকজনের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে।
ফেরিঘাটে আটকে পড়া ট্রাকচালক নুরুজ্জামান, আবদুল কাদের ও মোহাম্মদ আলী জানান, ফেরি সংকটের কারণে তিন-চারদিন ধরে আটকা পড়েছেন তাঁরা। সবাই ঈদ করবে পরিবারের সঙ্গে। গাড়িতেই তাদের ঈদ করতে হবে। অন্যদিকে কাল কোনো খাবার হোটেল খোলা থাকবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তাঁরা।
ট্রাকচালকরা আরো জানান, এ রুটে তিনটি ফেরি চলাচল করে। এরই মধ্যে দুটি সব সময় চললেও আরেকটি বেশির ভাগ সময় নষ্ট থাকে। যার কারণে এমন দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাই ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান দুর্ভোগে পড়া যানবাহনের চালকরা।
এ ব্যাপারে বিকেলে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটের মজু চৌধুরীর হাট ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার শিহাব উদ্দিন বলেন, এ ঘাট থেকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে পর্যন্ত পাঁচবার ফেরি পারাপার হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়িগুলো ক্রমান্বয়ে পারাপার করা হচ্ছে। সুযোগ হলে ভারী যানবাহন ট্রাক ও কার্গো ভ্যান পারাপার অব্যাহত থাকবে।