‘মুস্তাফিজের মধ্যে ক্রিকেট বিস্ময় দেখতে পাচ্ছি’
ওয়ানডেতে অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে নিয়মিত বিস্ময় জাগাচ্ছেন। সে ধারা বজায় রেখেছেন টেস্ট অভিষেকেও। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং স্তম্ভ হাশিম আমলাসহ চার ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন।
এতক্ষণ যাঁর কথা বলা হচ্ছিল, তিনি মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এ মুহূর্তের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। বেড়ে উঠেছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম তেঁতুলিয়ায়। সেই পথচলায় তাঁকে সাহায্য করেছেন ক্রিকেটের পারিবারিক শিক্ষক, বড় ভাই মোকলেছুর রহমান পল্টু। ভাইয়ের সাফল্যে তাঁর উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই।
অভিষেক টেস্টের প্রথম দিনে মুস্তাফিজের পারফরম্যান্স নিয়ে জানতে চাইলে পল্টু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পরের আরো চারদিনের খেলায় মুস্তাফিজ আরো ভালো করবে।’ তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে মুস্তাফিজ ভালো করুক। অভিষেক টেস্ট ম্যাচ জিতে আরো স্মরণীয় হয়ে থাকুক। তাঁর মধ্যে আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট বিস্ময় দেখতে পাচ্ছি।’
এদিকে মুস্তাফিজের টেস্ট অভিষেকের দিনে হাটে, মাঠে, ঘাটে আনন্দে মেতেছিলেন তাঁর বন্ধুরা। আর বাড়িতে তাঁর বৃদ্ধ বাবা ও মা দুই হাত তুলে দোয়া করে আল্লাহর কাছে ছেলের সাফল্য চেয়েছেন।
গ্রামের এই বালক একসময় স্কুলে যাওয়ার নাম করে মোটরসাইকেলে দৈনিক ৮০ কিলোমিটার পেরিয়ে সাতক্ষীরায় ক্রিকেট মাঠে হাজির হতেন, খুব ভোরে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও ক্রিকেট কোচ আলতাফ তাঁর খেলায় মুগ্ধ হয়ে পরপর অনূর্ধ্ব ১৪, অনূর্ধ্ব ১৬, অনূর্ধ্ব ১৮ এবং অনূর্ধ্ব ১৯ দলে খেলার সুযোগ করে দেন। এরপর থেকে এগিয়েই চলেছেন বাঁ-হাতি এই পেসার ।