চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে চা-বিরতির কিছুক্ষণ পর হাশিম আমলা ও জেপি ডুমিনিকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। টেস্ট অভিষেকে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাস গড়তে না পারলেও সেই ওভারে কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের মানুষ হতাশ হলে কী হবে, হ্যাটট্রিক না পাওয়ায় এই বাঁ-হাতি পেসারের মনে কোনো আক্ষেপ নেই। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সে কথা জানালেনও অকপটে।

টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘ ১৩৮ বছরের ইতিহাসে মাত্র তিনজন বোলার অভিষেকে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন—ইংল্যান্ডের মরিস অ্যালম ও পিটার পেথেরিক এবং অস্ট্রেলিয়ার ডেমিয়েন ফ্লেমিং। এই তিনজনের পাশে দাঁড়াতে না পারলেও মুস্তাফিজ হতাশ নন, ‘প্রথম দুই উইকেট পাওয়ার পর চেষ্টা করেছিলাম হ্যাটট্রিক করার। তা পারিনি বলে আক্ষেপ নেই। দলের প্রয়োজনে ভালো বল করতে পেরেছি সেটাই বড় কথা।’  
 
অন্য প্রান্ত থেকে আরেক পেসার মোহাম্মদ শহীদের নিখুঁত লাইন-লেংথে বোলিং সাফল্য পেতে সাহায্য করেছে বলে জানালেন মুস্তাফিজ,  ‘শহীদ সেই সময় খুব ভালো বল করছিল। যদিও কোনো উইকেট পায়নি। তবে তার টাইট বোলিং আমাকে উইকেট পেতে অনেক সাহায্য করেছে।’ 
 
মুস্তাফিজের সাফল্যের অন্যতম অস্ত্র ‘অফ কাটার’। তবে মঙ্গলবার এই বল খুব বেশি করেননি। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য, ‘আসলে টেস্টে ব্যাটসম্যানদের রান নেওয়ার তাড়না থাকে কম। তাই আমিও সেভাবে অফ কাটার করিনি। দু-তিন ওভার পরপর একটা-দুটো অফ কাটার করেছি।’