‘চটের বস্তার কারণে চালের দাম বাড়ছে, এটা ডাহা মিথ্যা’

প্লাস্টিকের বস্তার পরিবর্তে চটের বস্তা ব্যবহারের কারণে চালের দাম বাড়ছে বলে ব্যবসায়ীরা যে অভিযোগ করেছেন, তা ডাহা মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মির্জা আজম বলেন, চটের বস্তা ব্যবহারে যে বাধ্যবাধকতা, তা শিথিল করে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হলে পাটের দাম কমে যাবে। ফলে কৃষকরা পাটের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে আত্মহত্যা করবেন।
বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএম) তথ্যের বরাত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি চটের বস্তার দাম ২৪ টাকা। এটি তিন থেকে চারবার ব্যবহার করা যায়। এর পরও পুরোনো বস্তা ২০ টাকায় বিক্রি হয়। ফলে একটি বস্তার দাম পড়ে চার টাকা। এদিকে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করা যায় একবার। কাজেই প্লাস্টিকের বস্তার পরিবর্তে চটের বস্তা ব্যবহারে চালের দাম বাড়ছে, তা কূটকৌশল ছাড়া কিছুই নয়।
মির্জা আজম আরো বলেন, প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহারের ফলে পরিবেশে বিপর্যয় নেমে আসবে। পাটকলগুলো আরো লোকসানের মুখে পড়বে।
গতকাল চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বৈঠক করেন। বৈঠকে ব্যবসায়ীরা বলেন, চালের জন্য চটের বস্তা ব্যবহারের কারণে চালের দাম বাড়ছে। তাঁরা চটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। ব্যবসায়ীদের অনুরোধে চটের বস্তা ব্যবহারের যে বিধিনিষেধ ছিল, তা শিথিল করা হয়।