গোপালগঞ্জে শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে বাস চলাচল বন্ধ
গোপালগঞ্জে থ্রি হুইলার ও বাসশ্রমিকদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে মুকসুদপুর-বরইতলা সড়কে সাত ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত থ্রি হুইলার চালকরা ওই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। অতিরিক্ত সময় ও টাকা ব্যয় করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে।
বাসশ্রমিক মহসিন মিয়া জানান, মুকসুদপুর-বরইতলা সড়কের বাটিকামারী থেকে বরইতলা পর্যন্ত থ্রি হুইলার চলাচল নিষেধ রয়েছে। গতকাল শনিবার কয়েকটি থ্রি হুইলার বাটিকামারী ও বরইতলা চলাচল করে। বাসশ্রমিকরা থ্রি হুইলারগুলো ফিরিয়ে দেন। এর জের ধরে আজ রোববার সকালে বরইতলা থেকে মুকসুদপুরের বাস ছেড়ে গেলে ইজিবাইক শ্রমিকরা ওই সড়কের মাটিয়া ব্রিজের কাছে পরপর ছয়টি বাস আটকে রেখে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসগুলো ছাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বাসশ্রমিকরা ওই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
যাত্রী আবুল হোসেন বলেন, থ্রি হুইলার ও বাসশ্রমিকদের দ্বন্দ্বে বাস চলাচল বন্ধ থাকে। যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা ও সময় ব্যয় করে ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে।
থ্রি হুইলার শ্রমিক পরশ হোসেন বলেন, ওই সড়কের মুকসুদপুর থেকে বাটিকামারী পর্যন্ত থ্রি হুইলার চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু থ্রি হুইলার নিয়ে রাস্তায় নামলেই বাস শ্রমিকরা আমাদের গালিগালাজ ও মারপিট করেন। শনিবার বাস শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি থ্রি হুইলার বন্ধ করে দেন এবং আমাদের মারপিট করেন।
কাশিয়ানী-মুকসুদপুর-বরইতলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম শিমুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ খায়রুল আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান, বাস মালিক সমিতি ও রাজনৈতিক নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে বৈঠক করে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করেছেন।
মুকসুদপুর উপজেলার সিন্ধিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল বারেক বলেন, থ্রি হুইলার ও বাস শ্রমিকদের দ্বন্দ্বের জেরে ধরে বাস মালিক সমিতি ওই সড়কে রোববার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখে। বিকেল ৩টার পর সমঝোতা বৈঠকের পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।