বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের হাতে আটক এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যুবকের স্বজনদের অভিযোগ, বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি। তবে বিএসএফ জানিয়েছে, অসুস্থ হয়ে মারা যান ওই যুবক।
মারা যাওয়া যুবকের নাম আশরাফ আলী (২৫)। স্বজনরা জানিয়েছেন, আশরাফ মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন।
বিএসএফ আগামীকাল শুক্রবার আশরাফের মরদেহ ফেরত দেবে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
স্বজনরা জানান, আশরাফ আলী গতকাল বুধবার ঝিনাইগাতীর ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম নওকুচিতে তাঁর বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকেলে গজনী সীমান্ত দিয়ে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকেই আশরাফের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
আশরাফ আলীর ছোট বোনের স্বামী আলাল বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমরা জানতে পারি বিএসএফের লোকজন আশরাফ আলীকে নিয়ে গেছে। গতকাল বিকেলে তিনি নওকুচি সীমান্তের কাঁটাতারের কাছাকাছি এলাকায় যান। এ সময় বিএসএফ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।’
আলাল বলেন, ‘ঘটনাটি বিজিবিকে জানানোর পর আজ বিকেলে ফ্ল্যাগ মিটিং করেন তাঁরা। পরে জানতে পারি আশরাফ আলী মারা গেছেন এবং তাঁর লাশ হয়তো কাল দিতে পারে বিএসএফ।’
আলাল আরো বলেন, ‘আমরা শুনেছি বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন আশরাফ। তবে এ ব্যাপারে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।’
এ ব্যাপারে নকশী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বুধবার আশরাফের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাই তাঁর স্বজনদের কাছ থেকে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বিএসএফ জানায়, আশরাফ অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। পরে বিকেলে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর শুক্রবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে লাশ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিএসএফ।’
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেন, ‘আমি শুনেছি বিএসএফের গুলিতে আশরাফের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। আমি বিজিবি ক্যাম্পে গিয়েছিলাম, ওখানেও লোকজন বলাবলি করছিল গুলিতেই আশরাফের মৃত্যু হয়েছে। তবে আশরাফ কীভাবে মারা গেছেন, বিজিবি বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।’