বাংলাদেশি যুবকের ‘গুলিবিদ্ধ’ লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বাংলাদেশি যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত বুধবার উপজেলার গজনীর নওকুচি সীমান্ত এলাকা থেকে নিখোঁজ হন আশরাফ আলী।
গতকাল বৃহস্পতিবার জানা যায়, বিএসএফের হাতে আটক আছেন আশরাফ আলী। আটক থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিএসএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আশরাফ অসুস্থ হয়ে মারা যান। আজ শুক্রবার দুপুরে নকশী সীমান্ত দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে আশরাফের লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
আশরাফের শরীরে গুলির চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ। ভারতীয় পুলিশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনেও গুলির চিহ্নের কথা আছে।
আশরাফের লাশ হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশের পক্ষে ঝিনাইগাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজেদুল ইসলাম ও বিজিবির নকশী ক্যাম্প কমান্ডার নুরুল ইসলাম এবং ভারতের পক্ষে পুলিশ ইন্সপেক্টর পি ডি মারাক ও বিএসএফের ক্যাম্প ইনচার্জ এল মারাক উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইগাতীর কোনাগাঁওয়ের চান মিয়ার ছেলে আশরাফ আলী গত বুধবার গজনীর নওকুচিতে তাঁর ছোট বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। বিকেলে আশরাফ গজনী নওকুচি সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছাকাছি যাওয়ার পর নিখোঁজ হন।
বিষয়টি স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে জানানোর পর বিজিবির তরফ থেকে পতাকা বৈঠক আহ্বান করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হয় পতাকা বৈঠক। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ আশরাফ আলীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। অসুস্থতার কারণে মারা গেছে আশরাফ- এমনটাই বিজিবিকে জানান বিএসএফ কর্মকর্তারা। বিজিবির নকশী কোম্পানি কমান্ডার নুরুল ইসলামও বিষয়টি সেভাবেই গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।
কিন্তু ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা বলেছিলেন, ‘গুলিতেই নিহত হয়েছেন আশরাফ আলী।’ বিজিবির ক্যাম্পে আশরাফের খোঁজ নিতে যাওয়া এলাকাবাসী ও স্বজনরাও একই কথা বলেছে বলে জানান উপজেলা চেয়ারম্যান।
এদিকে আজ শুক্রবার লাশ হস্তান্তরের সঙ্গে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সুরতহাল প্রতিবেদনে ‘বুলেট ইনজুরি’ লেখা থাকায় বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।
ঝিনাইগাতী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল কাদের বলেন, ‘প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে বুলেট ইনজুরির কথা লেখা রয়েছে। তবে ভারতীয় তরফ থেকে মূল ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে।’