খুলনায় বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/29/photo-1438153595.jpg)
‘বাঘ বাঁচলে বাঁচবে বন, রক্ষা হবে সুন্দরবন’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য ধরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খুলনায় পালিত হয়েছে বিশ্ব বাঘ দিবস।
urgentPhoto
আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। র্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে অফিসার্স ক্লাব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে অংশ নেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, বন সংরক্ষক ড. সুনীল কুমার কুণ্ডু প্রমুখ।
র্যালি শেষে অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে সুনীল কুমার কুণ্ডুর সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি অনুষদের অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহিদুল কবির।
মূল প্রবন্ধের ওপর বক্তব্য দেন প্রকাশ কান্ত সিলওয়াল, জহির উদ্দিন আহমেদ, মো. হাসিবুল হক খান, হাবিবুর রহমান ও মকবুল হোসেন মিন্টু।
মূল প্রবন্ধের বক্তব্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নাজমুস সাদাত বলেন, ‘বাঘ আমাদের জাতীয় প্রাণী ও বীরত্বের প্রতীক। বাংলাদেশের বর্তমানে বাঘের একমাত্র আবাসস্থল হচ্ছে সুন্দরবন। সারা বিশ্বে বন উজাড় ও শিকারি কর্তৃক বাঘ হত্যার ফলে এই প্রাণী মহাবিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পৃথিবীর মাত্র ১৩টি দেশে এখনো বাঘের অস্তিত্ব বজায় আছে। এই ১৩টি দেশকে Tiger Range Country (TRC) বলা হয়।’
নাজমুস সাদাত জানান, সারা বিশ্বে ১৯০০ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল এক লাখ। বর্তমানে তা কমে চার হাজারের নিচে চলে এসেছে। বাঘ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবণতা চলতে থাকলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাঘ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।