আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক আবার কারাগারে
রাজধানীর রমনা ও গুলশান থানায় করা মুদ্রাপাচারের তিন মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তাঁর দুই ভাইকে আবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিমের পৃথক দুই বিচারক এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আসামি দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে আজ একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী ও দেবব্রত বিশ্বাস আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আনিসুর আরো জানান, এর আগে গত ২ অক্টোবর আসামিদের একদিনের রিমান্ডে পাঠান মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালত।
দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় কারাগারে আটক আছেন।
বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ‘অবৈধ সম্পদ’ খুঁজতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে গত ১৪ ও ১৫ মে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
প্রতিষ্ঠানটির গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়।
পরে ৪ জুন তিন দফা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আপন জুয়েলার্সের জব্দ করা স্বর্ণ ও হীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচারের অভিযোগে মামলা করে কাস্টমস।
পরে ৮ জুন ঢাকার সিএমএম আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি। পরে ঢাকার নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক শফিউল আজম তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অন্য আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী।