নির্বাচনে হেরে বিদ্যালয়ে ভাঙচুর, তালা!
বিদ্যালয়ের ভবন সেমিপাকা। ওপরে টিন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে হেরে এক প্রার্থী তাঁর লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ে ভাঙচুর করলেন। বিদ্যালয়ের মাঠে পানি খাওয়ার জন্য একটি টিউবঅয়েল ছিল, সেটাও ভাঙলেন। শুধু তাই নয়, শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেন পড়াশোনা!
আজ সোমবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পরশগঞ্জ মনছুর আলম উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। শ্রেণিকক্ষে তালা দেখে বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ওই প্রার্থীর নাম সাহাব উদ্দিন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাহাব উদ্দিন ও তাঁর কর্মীরা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন আসবাবপত্র, একটি টিউবঅয়েল ভাঙচুর করেন ও আগুন লাগিয়ে দেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইন উদ্দিনকে হুমকি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগও উঠছে সাহাব উদ্দিন ও তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে।
বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ ও পাঠদান করতে না পারায় বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি করে।
খবর পেয়ে কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে তালা ভেঙে পাঠদানের কার্যক্রম চালু করা হয়। এ ছাড়া ঘটনাটি তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রধান শিক্ষক মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, গত শনিবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আট প্রার্থীর মধ্যে চারজন বিজয়ী হন। এঁদের মধ্যে ৭ নম্বর ব্যালটের প্রার্থী সাহাব উদ্দিন পরাজিত হন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সাহাব উদ্দিন এ বিদ্যালয়ে ভাঙচুর ও তালা ঝুলিয়ে দেন বলে জানান তিনি।
তবে এ বিষয়ে জানতে সাহাব উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘বিদ্যালয়ে ভাঙচুর ও তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। ঘটনাটি তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। প্রধান শিক্ষককে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার জন্য বলা হয়েছে।’