পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া তিন যুবক আজ মঙ্গলবার বিকেলে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।

তিনজন হলেন নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ি এলাকার সাইফুল ইসলাম (২৯), বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার চেংগুটিয়া এলাকার এ এইচ এম কিবরিয়া (৩৬) ও মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার রাজৈর এলাকার গোলাম মোস্তফা (৩১)।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, আদালতের আদেশ ও ছাড়পত্র কারাগারে পৌঁছার পর তা যাচাই-বাছাই শেষে মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ওই তিন আসামিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার পর থেকেই তাঁরা কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধের মধ্যে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে একটি মিছিল থেকে গিয়ে কয়েক যুবক দর্জি দোকানি পথচারী বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। রায়ে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সাইফুল ইসলামসহ আটজনকে ফাঁসি এবং এ এইচ এম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফাসহ ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করে। পরে উচ্চ আদালত আপিলে রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুজনের আগের সাজা বহাল রেখে সাইফুল ইসলামসহ দুজনকে খালাস ও অপর চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ ছাড়া রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এ এইচ এম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফাকে ওই মামলা থেকে খালাস দেন আদালত।