বিশ্বজিৎ হত্যা : ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ৬ আগস্ট

দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যার ঘটনায় আনা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে অনুমতির জন্য আবেদন) ও আসামিদের করা আপিলের রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ আগস্ট এই রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
দীর্ঘদিন শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন মনসুরুল হক চৌধুরী ও শাহ আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।
এ বিষয়ে আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, শুনানি শেষ হয়েছে। আসামিরা ন্যায়বিচার পাবেন বলেও এ সময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ দাস হত্যার ঘটনায় আনা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
এরপর গত ১৬ মে থেকে হাইকোর্ট বিভাগে মামলার শুনানি শুরু হয়।
বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় আটজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার এবং মীর মো. নূরে আলম লিমন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন এ এইচ এম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। এ ছাড়া তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২১ আসামির মধ্যে আটজন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নির্মম খুনের শিকার হন দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে বিশ্বজিতের দর্জি দোকান ছিলেন। তিনি থাকতেন লক্ষ্মীবাজার। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর।