প্রেম করায় মেয়েকে খুন করে গুম!
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় নিজের মেয়েকে খুন করে গুমের অভিযোগে তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া বাবা আবুল হোসেন (৩৫) খুন-গুমে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আজ বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আবুল হোসেনের বাড়ি গজারিয়ার ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনী গ্রামে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গজারিয়া থানাধীন নৌফাঁড়ি পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) এ বি এম এস দোহা।
মামলার এজাহারে বলা আছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে ষোলআনী গ্রামের একটি পুকুরে বস্তাবন্দী একটি কঙ্কাল দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে পুলিশ নিশ্চিত হয় কঙ্কালটি ষোলআনী গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের (১৫)। এ ঘটনায় গজারিয়া নৌফাঁড়ি পুলিশের তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
নৌফাঁড়ির এসআই এ বি এম এস দোহা জানান, দীর্ঘ তদন্তের পর সুমাইয়া হত্যাকাণ্ডে তার বাবা আবুল হোসেনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে আবুল হোসেনকে আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবেশী খবির দেওয়ানের ছেলে রাজীব দেওয়ানের (১৮) সঙ্গে মেয়ে সুমাইয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নিষেধ করা স্বত্ত্বেও তা অমান্য করে গত বছরের নভেম্বর মাসের এক রাতে লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় আবুল হোসেনের চোখে ধরা পড়ে। আবুল হোসেন বাঁশের লাঠি দিয়ে মেয়ের মাথায় জোরে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। পরে তিনি মেয়ের লাশ বস্তায় ভরে পাশের পুকুরে ফেলে দেন।
এসআই দোহা আরো জানান, আবুল হোসেনকে আজ বুধবার গজারিয়ার আমলি আদালতে পাঠানো হয়। তিনি মেয়ে সুমাইয়াকে হত্যা ও লাশ গুম করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।