অসাংবিধানিক বক্তব্য দিচ্ছেন তাঁরা : বাণিজ্যমন্ত্রী
বিএনপির উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মওদুদ আহমদের কি সেই ক্ষমতা আছে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে নামানোর? এত সহজ না। এ রকম অসাংবিধানিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে '৭ মার্চের মহাকাব্য- বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস' শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ। সেক্টর কমান্ডার ফোরাম- মুক্তিযুদ্ধ '৭১ ওই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে মওদুদ আহমদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মওদুদ আহমদ বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এখন দুটি পথ খোলা আছে। হয় তিনি সম্মানজনক ভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দিবেন। না হয় তাঁকে অসম্মানজনক ভাবে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সরকার শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনার (মওদুদ আহমেদ) যদি শক্তি থাকে তাহলে চেষ্টা করতে পারেন। এটা ১৯৭১ সাল না।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আপনারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন। গাড়ি পুড়িয়েছেন। পুলিশ সদস্যদের গায়ে আগুন দিয়েছেন। আপনার নেত্রী তো ওই সময় বলেছিল, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর আগে ঘরে ফিরবেন না। পেরেছেন নামাতে? বাংলাদেশের মানুষ আর কোনোদিন জামায়াতকে সাথে নিয়ে ক্ষমতায় আসা মেনে নিবে না।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু আমরা আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত করেছি। এটা পছন্দ হয় না বিএনপি ও তাদের নেত্রীর। এক সাথে ছয়জন রাষ্ট্র দূত এসেছেন এই ইস্যুতে। রোহিঙ্গাদের খুব সহজে ফিরিয়ে নিবে না তারা। কিন্তু তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে।’
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিএনপি নষ্ট করতে চেয়েছিল উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এই ভাষণ নষ্ট করার জন্য প্রথমে পাকিস্তান চেষ্টা করেছে। এর পর বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর মাইক কেড়ে নেওয়া হতো ভাষণ বাজালে। আজ সেই ভাষণ পৃথিবী শ্রেষ্ঠ ভাষণ।’
সংগঠনের সহসভাপতি মো. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক,অর্থনীতিবিদ ড.কাজী খলীকুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক হারুন হাবীব, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমান প্রমুখ।