বিদ্যুতের দাম বাড়লেও মানুষের জীবনযাত্রায় তার প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

আর বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মনে করেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এ বিষয়ে জ্বালানি উপদেষ্টার কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে কতটা পড়বে সে বিষয়ে তারা কোনো হিসাব করেছেন কি না।

জবাবে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, ‘ইনশাল্লাহ পড়বে না, প্রভাব পড়বে না। আমি আশা করব যে এটা নিয়ে কেউ কোনোভাবে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক খেলায় মাতবেন না। এটাকে সামঞ্জস্যকরণ করা হয়েছে, একটু বৃদ্ধি করা হয়েছে। ক্যাব (কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) কী হিসাবে বলেছিল সেটা তো আমার কাছে নেই। সুতরাং তার ওপর আমি মন্তব্য করতে পারতেছি না। কিন্তু আমরা আশা করব যে, সবাই এই সামান্য মূল্য বৃদ্ধিকে মেনে নিয়ে…।’

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা একটা মধ্যম পন্থা নিয়েছি যাতে করে যখন তেলের দাম অনেক বেড়েছে তখন আমরা আমাদের ভোক্তাদের তেলের দাম বাড়াইনি অত। আবার তেলের অনেকখানি কমলেও আমরা অতখানি কমাইনি।’

তবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলছেন ভিন্ন কথা। আবার জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন হিসাবনিকাশ করেই দাম বাড়িয়েছে বলেও বিশ্বাস তাঁর।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট কিছু করতে হবে ভবিষ্যতে গিয়ে। তবে এই মুহূর্তে সেটা করা ঠিক কি ঠিক না সেটা তো বার্কের (বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ওপর ডিপেন্ড (নির্ভর) করে। বার্ক বললে… এখন বার্ক করে দিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যে কোনো ধরনের অ্যাডজাস্টমেন্টই কিছুটা তো এফেক্ট হবে। এটা তো স্বাভাবিক, এখন যেকোনো জায়গার মধ্যে। এটা কি আমাদের সহনীয় পর্যায়ে থাকবে কি না সেটা হলো বিষয়টা। এটা কি অ্যাফর্ডেবল কি না। বার্ক মনে করছে যে এখানে ৫ পার্সেন্ট যদি এভারেজ একটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে পারি, তাহলে এটা হয়তো অ্যাফর্ডেবল হবে সবক্ষেত্রে।’