লক্ষ্মীপুরে সাবেক সিভিল সার্জনকে আটকের পর কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে আটকের পর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে শহরের কাকলি শিশু অঙ্গন বিদ্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে দুজনের বাগবিতণ্ডার পর হাতাহাতির ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সালাহ উদ্দিন শরীফকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
এ ঘটনার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগমের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পরে জেলা প্রশাসক আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দিলে শান্ত হন তাঁরা। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র ও চিকিৎসকরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথে আগে পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় তাদের মধ্যে হাতহাতির ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পুলিশের মাধ্যমে চিকিৎসককে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ভ্রাম্যামাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পুলিশ ওই ডাক্তারকে কারাগারে পাঠায়। তড়িঘড়ি করে সাজা দেওয়ার বিষয় নিয়ে জেলায় কর্মরত বিক্ষুব্ধ অবস্থায় চিকিৎসকরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে রুদ্ধতার বৈঠকে বসেন। এ সময় গণমাধ্যমকে কোনো ছবি তুলতে দেননি জেলা প্রশাসক।
বৈঠক থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) জেলা সভাপতি ডা. আশফাকুর রহমান মামুন জানান, জেলা প্রশাসক আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দিলে চিকিৎসকরা শান্ত হন। নিয়ম মেনেই আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন, ডা. রাকিব হোসেন, ডা. জাকির হোসেন, ডা. হামিদ হোসেন।