মুফতি ইজহার জেলহাজতে
হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলামকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেটের তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. আবদুল কাদের এ আদেশ দেন।
এর আগে বিকেল ৪টায় খুলশী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা, বিস্ফোরক ও এসিড মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় মুফতি ইজহারুল ইসলামকে। নতুন কোনো মামলা না দেওয়ায় মুফতি ইজহারের আইনজীবীরা আদালতে জামিন আবেদন করেননি।
সাবেক পিপি ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার জানান, আগের তিনটি মামলায় মুফতি ইজহারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সেসব মামলা মিথ্যা। সরকার ইসলামী আন্দোলনের এ নেতাকে হয়রানি করতে একের অধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তবে আগের মামলায় হেফাজতে (রিমান্ড) আবেদনের কোনো সুযোগ নেই। সরকার নতুন মামলা না দেওয়ায় মুফতি ইজহারের জামিনের আবেদন করা হয়নি।
শুক্রবার দুপুরে মুফতি ইজহারুল ইসলামকে চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসা থেকে মুফতি ইজহারকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার এ বি এম ফয়জুল ইসলাম জানান, আটক মুফতি ইজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুলশী থানার তিনটি মামলায় রয়েছে। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।
২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর মুফতি ইজহারুলের পরিচালনাধীন চট্টগ্রামের জমিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মারা যায় তিনজন। আহত হয় আরো দুজন।
এ ঘটনা তিনজনকে আটক করা হলেও মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে একই মাদ্রাসার শিক্ষক হারুন ইজহার পলাতক ছিলেন। পরে হারুন ইজহার গ্রেপ্তার হন।
এ ঘটনায় খুলশী থানায় দায়ের করা হত্যা, বিস্ফোরণ ও এসিড মামলায় মুফতি ইজহারুল ইসলামসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৪ সালের ৬ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মুফতি ইজহারুলের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি।