শিমুলিয়া ঘাটে ট্রাক জট, চাঁদাবাজির অভিযোগ
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে শতাধিক ট্রাক দুই-তিন দিন ধরে নদী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এই সুযোগে দালাল ও পুলিশ সদস্যরা অতিরিক্ত টাকা নিয়ে সিরিয়াল ভঙ্গ করে ট্রাক পারাপার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন চালকরা। আর যাঁরা ফেরি পারাপারে সরকারি মাশুলের চেয়ে বেশি টাকা দিতে পারছেন না তাঁদের দুই থেকে চারদিন ঘাটে বসে থাকতে হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় গেলে দেখা যায়, পারাপারের অপেক্ষায় ট্রাকের দীর্ঘ সারি। ট্রাকের জট মাওয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু স্থান ফাঁকা রয়েছে। মাঝেমধ্যে সেখানে সিরিয়াল ভঙ্গ করে ট্রাক প্রবেশ করছিল। তাদের সহায়তা করছিল কয়েকজন ব্যক্তি। urgentPhoto
সেখানে কথা হয় বেশ কয়েকজন ট্রাকচালকের সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানান, তাঁরা দুই থেকে তিন দিন ধরে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় আছেন। পুলিশ ও তাদের লোককে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা দিলে সিরিয়াল পাওয়া যায়। নইলে পেছনেই পড়ে থাকতে হয়। এরপর ঘাটের কাছাকাছি এলে আবার সেখানকার লোকদের অন্তত দুই হাজার টাকা দিতে হয়।
চালকরা জানান, কয়েক দিন ঘাটে থেকে-খেয়ে তাঁদের টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ি থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আনতে হচ্ছে। তাঁরা আছেন চরম দুর্ভোগে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক জসিমউদ্দিন শিকদার জানান, ১৮টি ফেরির মধ্যে ১১টি ফেরি চলছে। পদ্মার নাব্যতা ও ডুবো চরের কারণে রো রো বড় ফেরিগুলো চালানো সম্ভব হচ্ছে না। মাঝারি ও ছোট ফেরিগুলো চলছে। ফেরিতে কম করে গাড়ি নেওয়া হচ্ছে।
জসিমউদ্দিন শিকদার বলেন, ‘আমরা সরকারিভাবে নির্ধারিত ভাড়া আদায় করছি। কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে না। আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দিতে আসেনি।’
শিমুলিয়া হাইওয়ে পুলিশ সার্জেট মো. শাহাদত হোসেন জানান, পারাপারের জন্য শিমুলিয়া ঘাটে তিন শতাধিক ট্রাক রয়েছে। রো রো ফেরি চলাচল না করায় ট্রাক জট রয়েছে। তবে টাকা নিয়ে আগে পারাপারের বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি।