‘মারধর করে নাই, বলছে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না’
দুদিন পর খোঁজ মিলেছে শেরপুরের চরশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী খন্দকার কবির হোসেনের। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই প্রার্থীকে ঝগড়ার চর নামে একটি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
কবির হোসেন এখন শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি জানান, তাঁর মোটরসাইকেল থামায় একাধিক ব্যক্তি। পরে তাঁরা নির্বাচন বর্জন করার জন্য চাপ দেয়। ছুরি দেখিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
কবির হোসেন বলেন, ‘ওরা কোনো মারধর করে নাই, বলছে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’
গত ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ‘নিখোঁজ’ হন খন্দকার কবির হোসেন। তাঁর মোটরসাইকেলটি ওই রাতেই পড়েছিল রাস্তায়। পুলিশ জানায়, ওই মোটরসাইকেলে রক্তের চিহ্ন ছিল।
আজ বৃহস্পতিবার ওই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কবির হোসেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
হাসপাতালে কবির হোসেন জানান, ওই রাতে মোটরসাইকেলে ফেরার সময় একাধিক ব্যক্তি তাঁর পথ আটকায়।
কবির হোসেন বলেন, ‘তাঁরা পথ আটকিয়ে বলে এই তোমারে নির্বাচন কেডা করবার কইছে? নির্বাচন তোমার বর্জন করা লাগব। এ কথা বলে আমার গাড়ির হ্যান্ডেল ধরছে। সামনে একটা লোক চাক্কু ধরছে। চাক্কুটা মারার জন্য ধরছে কি না কবার পারুম না, আমি চাক্কুটা ধইরা ফালাই। চাক্কু ধইরাই মোটরসাইকেল থেকে নামি। এতে হাত কেটে যায়।’
কবির হোসেন আরো বলেন, ‘আমারে কোনো মারধর করে নাই। বাইরের লোক। খালি একটাই কথা বলেছে, তোমাকে নির্বাচন বর্জন করতে হবে। তোমাকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’
শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম জানান, ‘নিখোঁজ কবির নিজ থেকেই আত্মগোপন করেছিলেন। তিনি শ্রীবরদী বাড়ের চর এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন এমনটাই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।’
শেরপুর সদর পৌরসভার একটি ওয়ার্ড ও জেলা সদরের চরশেরপুর ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
চরশেরপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ইসলাম মারা যাওয়ায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
চরশেরপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ডটিতে সদস্যপদে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে ভোট সংখ্যা মোট তিন হাজার ২৪৪ জন।