মদনমোহনে কোন্দল, ছাত্রলীগকর্মী খুন
সিলেটের মদনমোহন কলেজে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আবদুল আলী নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আলী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।
আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে কলেজের দোতলা ভবনের সিঁড়িতে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আবদুল আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ১০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের দুটি ইউনিট। এ ছাড়া মদনমোহন কলেজ ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল বের হয়, পরে তা মদনমোহন কলেজে গিয়ে শেষ হয়। আলী সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক বিধান কুমার সাহার সমর্থক ছিলেন বলে সহপাঠীরা জানিয়েছেন।
নিহত আবদুল আলীর বাবা আলকাস আলী ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেছেন। তিনি জানান, দুই ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্যে আলী ছিল বড়। বাস চালিয়ে অনেক কষ্ট করে তিনি ছেলেকে পড়ালেখা করাচ্ছিলেন। যারা ছেলের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, তাদের ফাঁসি দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল বাসিত রুম্মানকে ফোন করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে মহানগরের সদ্য সাবেক সভাপতি রাহাত তরফদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মদনমোহন কলেজের ঘটনাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত উভয়েই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মহানগর ছাত্রলীগ ও মদনমোহন কলেজ ছাত্রলীগ কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানান রাহাত তরফদার।