ছাত্রলীগকর্মী খুন : প্রণজিতের জবানবন্দি, ছুরি উদ্ধার
সিলেট মদনমোহন কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী আবদুল আলী হত্যা মামলায় প্রধান আসামি প্রণজিৎ দাস আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
urgentPhoto
আজ শনিবার বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হক প্রণজিতের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এর আগে সকালে আবদুল আলী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহমদ জানান, দুদিনের হেফাজতে থাকা প্রণজিৎ দাসের তথ্যের ভিত্তিতে সকাল ৯টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বুড়িখাল ব্রিজের নিচে পানির মধ্য থেকে ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। এরপর তিনি আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে আবদুল আলীকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুর আড়াইটায় তিনি মারা যান। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার পরদিন নিহত আবদুল আলীর বাবা আলখাছ মিয়া বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিলেট ওসমানীনগর উপজেলার দায়মীর থানাগাঁওয়ের প্রণজিৎ দাশ, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের মো. আঙ্গুর মিয়া, নগরীর কাজল শাহ এলাকার রাজীব, কলাপাড়ার মাসুদ, তাকছিরসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় গ্রেপ্তার মো. আঙ্গুর মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল শুক্রবার তিনদিনের হেফাজতে (রিমান্ড) পেয়েছে পুলিশ।