শিশুর অর্ধনগ্ন লাশ উদ্ধার, সৎ বাবা আটক
লক্ষ্মীপুরে ফসলের ক্ষেত থেকে মামুন হোসেন (১১) নামের এক শিশুর রক্তাক্ত অর্ধনগ্ন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার মধ্য টুমচর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার সৎ বাবা মাকসুদকে আটক করা হয়েছে।
পরিকল্পিতভাবে মামুনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। পরে মরদেহ ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
নিহত মামুন মধ্য টুমচর গ্রামের সুমি বেগম ও বরিশালের আবু ছিদ্দিকের ছেলে। তবে প্রায় পাঁচ বছর আগে ছিদ্দিক ও সুমির সংসার ভেঙে যায়। পরে সুমি বেগম সদর উপজেলার চৌপল্লি গ্রামের হাসান চৌকিদারের ছেলে মাকসুদকে বিয়ে করেন। মাকসুদ চট্টগ্রামের কালামিয়া বাজারের ট্রেইলার্স ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রোববার রাতে মামুন টুমচর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সোমবার সকালে মামুনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়। স্থানীয় শহিদ মাওলানার বাড়ির পশ্চিম পাশে ফসলের ক্ষেতে একটি লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। মরদেহের ডান চোখ রক্তাক্ত, অর্ধনগ্ন ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
নিহতের মামুনের মামা দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘গতকাল রাতে আমার ভাগিনা মামুন বাড়ি থেকে ওয়াজ শুনতে বের হয়। এরপর আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাকে নিখোঁজ বলে সকালে মাইকিং করা হয়েছে। পরে দুপুরে ক্ষেতে তার মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।’
মামুনের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন দিল মোহাম্মদ।
লক্ষ্মীপুর মডেল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, শিশু মামুনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সৎ বাবা মাকসুদকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।