‘হঠাৎ দেশে ফিরে উড়ন্ত সেতু দেখে চমকে যান’
পাহাড়ি জনপদ বান্দরবানে নৌকার পালে নতুন হাওয়া লেগেছে। সাংগঠনিক সফরে আসা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি পরিপূর্ণতা পেয়েছে ঐতিহাসিক রাজারমাঠে জনসভাস্থলে নৌকার আদলে তৈরি নৌকামঞ্চ।
জেলার সাতটি উপজেলা, দুটি পৌরসভা, ৩৩টি ইউনিয়ন এবং ৯৫টি মৌজার আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে জনসভাস্থল।
আজ শনিবারের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম বেবী, যুগ্ম সম্পাদক লক্ষি পদ দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিংটিং মারমা, লামা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাঈল, রোয়াংছড়ি আওয়ামী লীগের সভাপতি চহ্লামং মারমাসহ সংগঠনের নেতারা।
জনসভায় বিশেষ অতিথি ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ছোয়ায় বদলে গেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছে এদেশ। মানুষের আয় বেড়েছে, জনগণের ক্রয় ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। ২০ বছর আগে বিদেশ যাওয়া ছেলেটি দেশে ফিরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হঠাৎ উড়ন্ত সেতু দেখে চমকে যান। এটিই হচ্ছে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ খালি কলসি নয়, আওয়ামী লীগ এদেশের উন্নয়নের প্রতীক। ব্যাঙ বর্ষাকালে ডাকাডাকি করে। বিএনপিও বর্ষাকালের ব্যাঙের মতো হাও-মাও করে ডাকছে, চিৎকার করে।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির আগে পূর্ণিমার চাঁদের আলো দেখতে পাহাড়ি-বাঙালিরা ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পায়নি। কিন্তু বদলে গেছে পার্বত্যাঞ্চলের চিত্র। চুক্তির ফলে পাহাড়ে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। পাহাড়ের মানুষ অর্থনৈতিক এবং আত্মসামাজিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ের মানুষের কান্না শুধু শেখ হাসিনা শুনেছেন। অতীতের কোনো সরকার পার্বত্যাঞ্চলের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি।
বীর বাহাদুর আরো বলেন, ঘরে ইঁদুর থাকতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগে বেইমান-মীরজাফরের কোনো স্থান হবে না।
প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের রক্তক্ষয়ী সংঘাত বন্ধ করে শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়েছে আওয়ামী লীগ। পাহাড়ে এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে। কিন্তু বিএনপি চুক্তি নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। তিনি বলেন, বীর বাহাদুর উশৈসিং পার্বত্যাঞ্চলে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত একজন প্রতিনিধি। তাঁর হাত ধরেই উন্নয়নের ছোয়ায় বদলে গেছে বান্দরবান জেলা। আগামী নির্বাচনেও বীর বাহাদুরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ষষ্ঠবারের নির্বাচিত করবেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে গৃহায়ণমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি। লুটপাট আর দেশের সম্পদ চুরি করেছে। বিএনপি চোরের দল, চোরের ভোট দেওয়ার কোনো অধিকার নেই।