ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয়নি : সচিব
প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, ‘এ আইনে সাংবাদিকরা টার্গেট (লক্ষ্য) নয়। সাংবাদিকদের বিষয়ে এই আইনের খসড়ার কোথাও কিছু বলা হয়নি। তাছাড়া এ আইনের মাধ্যমে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হবে বলেও আমি মনে করি না।’
আজ সোমবার আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইনের খসড়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এছাড়া তিনি আইনের বিভিন্ন ধারা ও এর শাস্তির বিষয়ে কথা বলেন।
নতুন এ আইনের খসড়ায় পূর্বেকার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বহুল আলোচিত ৫৭ ধারাসহ ৫৪, ৫৪, ৫৬ ও ৬৬ ধারা বাতিলের কথা বলা হয়েছে। ৫৭ ধারার ব্যাপক অপপ্রয়োগের অভিযোগ এনে সাংবাদিকরা এ ধারাটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এ ধারাগুলোর পরিবর্তে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কিছু ধারা অন্তর্ভুক্ত করে অনুরূপ অপরাধের শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
নতুন আইনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করে ক্ষতিসাধন করলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
কারো কম্পিউটার সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধার রয়েছে। ২১ ধারায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতার অবমাননা করা হলে অথবা অবমাননায় মদদ দেওয়া হলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড অথবা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।
এছাড়া আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ২০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ড দেওয়া যাবে। কারো মানহানি করলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, ৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অতি গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ, প্রকাশ বা গুপ্তচরবৃত্তি করলে ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে বলেও জানান সচিব।
নতুন আইনটি সাংবাদিকদের জন্য আরো নিবর্তনমূলক হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংবাদিকদের বিষয়ে এই আইনের খসড়ায় কিছু বলা হয়নি।
সাংবাদিকরা বি
ভিন্ন স্থান থেকে নথি বা তথ্য সংগ্রহ করে সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। এ জন্য সোর্স ম্যান্টেইন করে থাকে। এই আইনের খসড়ায় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য কঠোর শাস্তির করা বলা হয়েছে। এটা মত প্রকাশের অন্তরায় কি না? এ প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এই আইনটি মত প্রকাশের অন্তরায় নয়। বরং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই করা হচ্ছে।